Wednesday, December 25, 2019

একাকী আমি

ভোরের আলোয় পাখিরাই করুক গান,
শিশিরে ভেজা সবুজ ঘাস ভোরের জন্যই থাক।
আমি আঁধারের মাঝেই নিবো খুঁজে আমার স্থান,
যে নিঝুম রাতে বাতাস হবে ক্লান্ত, বন্ধ থাকবে ঝিঁঝিঁ পোকাদের গান।
শুধু নির্বাক তারারা জেগে থাকবে অপলক,
অসীম শুন্য থেকে করবে নিস্ফল কথোপকথন।
সে নিঝুম রাতে বিলিয়ে দিবো আঁধারের মাঝেই আমার আলো থেকে সঞ্চিত সব হাহাকার৷৷
সকল ব্যকুলতা সমর্পণ করবো আঁধারের ছাদরে।

১২/০৮/২০১৯

শিমুলের তলে

আমি একটি গাছ রোপন করব,
কোনো এক বিরান পথ ধরে নদীর তীর ঘেষে
একটি শিমুল গাছ।
চৈত্রের খা-খা উদাস দুপুরে হেঁটে যাবো-সে বিরান পথ ধরে ক্লান্ত কায়ে এক দন্ড অবসর নেবো সেই শিমুলের তলে।

ধীর ধীরে বয়ে যাবে নদী,
হাটু জলের নিবিড় কলতানে,
রুক্ষ শুষ্ক শিমুলের কাটাগাঁয়ে
গাঁ হেলিয়ে বসবো খানিকক্ষণ।

চৈত্রের রৌদ্রমূর্তি উপেক্ষা করে,
শিমুলের ডালে ডালে আভরিত
ভালোবাসার রঙ ঝরে ঝরে পড়বে
আমার চারিদিকে।

মৃদু হাওয়ায় যখন শরীর ঝিমিয়ে আসবে,
নদীর কলতান বাজবে কানে
কাকগুলো গাইবে তখন 
অগোচরে ফেলে আসা কোনো এক
অবহেলিত বর্ষের গান।

১৮/১১/২০১৯

সত্যি আমি জানি না

কেনো জানি হঠাৎ করেই
হৃদয়ে এক নিদারুণ হাহাকার অনুভব হয়, মনে হয় কী জানি এক অমূল্য কিছু আমি ফেলে এসেছি সময়ের পথে, আনমনে অগোচরে ব্যর্থ ব্যস্ততার কোলাহলে।
মনে হয়,  আমি আর কখনোই ঐ অমূল্য জিনিসটি পাবো না, কিন্তু আজন্ম ঐ জিনিসটার অপেক্ষায়ই  বসেছিলাম।

জানি না কী সে অমূল্য জিনিস,
যা আমাকে এতটা উদাস করে রাখে,
হৃদয়ে এক বিশাল শূন্যতা তৈরী করে রাখে।
মনে হয় যেনো এই বিশাল জন সমুদ্রের মাঝে আমি নিদারুন একা, নিঃসঙ্গ এক আঁধারের যাত্রী,
স্থির, নিস্তব্ধ, নিষ্প্রাণ দাঁড়িয়ে আছি।

চাঁদের ঝলমল করা জোছনা উপেক্ষা করতে পারলেও আমি শত চেষ্টা করেও অমাবস্যার অন্ধকার উপেক্ষা করতে পারি না,
ঐ অন্ধকার যেনো আমাকে নীরবে ডাকে
আঁধারের স্পর্শে আমি এক বিশাল হাহাকার অনুভব করি।
কী সে হাহাকার....
আমি জানি না।
সত্যি আমি জানি না,
কী সে হাহাকার...


২৭/১১/২০১৯

একাকী আমি

কিছু ইচ্ছা অব্যক্ত থাক,
কিছু স্বপ্ন অধরা থাক,
কিছু আশা অপূর্ণ থাক,
কিছু কষ্ট একান্ত থাক,
কিছু অনূভুতি আঁধারেই কেঁদে যাক,
কিছু কথা নির্বাক থাক।

২৭/১১/২০১৯

শেষ আবেদন

হঠাৎ কোনো একদিন আসবে চিঠি
যোগ দিতে হবে মহাকালের যাত্রায়
অন্ধকারে।

আলো-ছায়ার এই মায়ায় পেয়েছি অনেক
হেমন্তের শীতল আবেশ, ভোরের শিশির,
চড়ুইদের সরব মেঠোপথ, শেফালির সুভাষ।

ধরণী তোমায় দিলাম কেবল  একবুক দীর্ঘনিশ্বাস।
ক্ষমো এ দীনতা আমার    জীবনের পর,
এই শেষ আবেদন।

০৩/১২/২০১৯

একককী আমি

বেঁচে থাকার জন্য
প্রাণ প্রয়োজনীয় শর্ত মাত্র
পর্যাপ্ত শর্ত নয়।

২৫/০১/২০১৯

একাকী আমি

"জীবন আমাদের ইচ্ছাধীন নয়"...!

এই জীবন - মৃত্যু, আনন্দ কিংবা বেদনা কিছুই  নিজ ইচ্ছায় প্রাপ্ত নয়।
তাই এতো দীর্ঘশ্বাস!

১১/০২/২০১৯

একাকী আমি

জীবনকে ভেবেছিলাম -
যাপন করার মতো বিষয়, কিন্তু দেখছি
জীবনটা যাপন নয় অতিবাহিত করছি।

১২/০২/২০১৯

একাকী আমি

মানুষের অপ্রত্যাশিত আচরণ
এখন আর অবাক করে না..
দঃখ-কষ্ট, ব্যাথা যা-ই অনুভব হয় তা কখনই প্রতিক্রিয়া নয়।

আমি মানুষের ভাবনার স্বকীয়তায় বিশ্বাস করি।
আমি তেমনটাই, যেমনটা আমি আপনার ভাবনায় থাকি। এবং সেজন্যই আমি সকলের বন্ধু হতে পারে নি।

০৭/০৩/২০১৯
যোগ্যতার মানদন্ডে একদিন হয়ত ঠিকই দাঁড়িয়ে যাবো...
কিন্তু কী হবে তা দিয়ে???

বুকের মাঝে সেই তো শুন্যতা রয়ে যাবে।
প্রতিদিন মৃত্যু-যাপন।

১০/০৩/২০১৯
অন্ধরা বড্ড বেঁচে গেছে-
কারন তাদের মানুষের চেহারা দেখতে হয় না।

১০/০৩/২০১৯

একাকী আমি

কেবল একটা তারা জ্বলে থাকে
আমার সমস্ত মহাশুণ্য জুড়ে।
দৃষ্টি আমার ক্ষীণ হয়
দূর বহুদূর আলোর ঝলকানি
তবু অপলক চেয়ে থাকি
ভুলে যাই দূরত্ব অপার।

২৪/০১/১৯
ভুলে যায় মানুষ..
ভুলেই তো যায়...
ধীরে ধীরে কিংবা অকস্মাৎ

২০/০৮/২০১৯

একাকী আমি

আকাশের সমস্ত আবেগ
আজ ঝরে ঝরে পড়ছে বৃষ্টিধারায়
মন চায় সব ছেড়ে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে
গিয়ে আকাশের সাথে একাত্মা হই,
বুকের ভেতর জমে থাকা পাথরকে
একবার স্নাত করি।
বৃষ্টির জলে ভরে যাওয়া নদীধারায়
রাখি আমারও দু'ফোটা অবদান।

১০/০৭/২০১৯

একাকী আমি

জানিনা,
কত ইচ্ছে জলাঞ্জলি দিলে পরে
পাথরের মতো বেঁচে থাকা যায়..

জানিনা,
সময় কতটা একাকীত্ব  আমার কাছে দাবি করে..
কতটুকু গুটিয়ে নিলে নিজেকে গোপন রাখা যায়..

জানিনা,
এই পথের গন্তব্য কতদূর...
এই রক্তক্ষরণ থামবে কখন...

জানিনা,
আমাকে নিয়ে সময়ের কি পরিকল্পনা..
এই রাত জাগা
আদৌ একদিন শেষ হবে কি-না..?

১৬/০৮/২০১৯

Author Choice

আমি একটা অন্ধকারের ছবি আকঁবো

  আমি একটা অন্ধকারের ছবি আকঁবো নিকষ গাঢ় কালো অন্ধকারের ছবি। আলো - ছায়ার কোন ছবি নয় আলো - ছায়ায় কৃত্রিমতা থাকে, আমি একটা অন্ধকারের...