Tuesday, January 2, 2018

স্মৃতির পাতায়



দিন ফুরাইয়া গেলো হায়!
মন আর এগোতে না চায়,
কেবলই পিছন পানে তাকায়।
কেটেছে দিন-
কত সুখ-আনন্দ- বেদনায়,
তরুলতা ছায়।

আজ দিন ফুরাইয়া গেলো হায়!

উড়িয়াছি পাখা মেলে
মেঁটো পথ ধরে,
পাড়ায় থেকে পাড়ায়।
আজ দিন ফুরাইল তবে হায়!

গ্রীষ্মের দুপুরে,
আমাদের কে রাখে আটকে?
একদৌড়ে দিয়েছি ঝাঁপ নাইতে-
সে কত যে জলের খেলা,
জলের মাঝেই কাটত বেলা।

সে দিন আজ ফুরাল তবে হায়!

বাদলের দিনে
নাহি মানি মানা-
কুড়াইছি কত সুখ
আম্র তরুর পরে।
সে দিন ফুরাইল আজ হায়!

বরষা ধারায়,
আসিয়াছে বাণ, ডুবিয়াছে-
পথ - ঘাট, নদী- গ্রাম,
বৈটা হাতে, নৌকা বায়-
আমরা দূরন্তের দল,
কে লইত খবর-
কোথায় কত ঠাঁই?
আজ দিন ফুরাইল তবে হায়!

শরতের সকালে,
শিউলী ফুলের সুগন্ধে
কুড়াইয়াছি কত শুভ্র সুখ।
বিকেলের কাশবন আর
ধীরে চলা নদী কলকল।

সে দিন আজ ফুরাইল তবে হায়!

অগ্রানের  দিনে,
সোনাভরা ধানের ক্ষেতে-
কিষাণের নাই কাজের অবশেষ,
পিছুপিছু
আমাদের কী সে ছুটাছুটি -
কুয়াশা ঝড়া সোনার মাঝ দিয়ে,
আর বিকেল বেলায় ধানের মাঁড়ায়।

আজ সে দিন ফুরাইয়া গেলো হায়!
মন এগোতে না চায়-
কেবলই পিছন পানে তাকায়।
সেই দিন ফুরাইয়া গেলো হায়!

-প্রসেনজিৎ দত্ত
Dec,16,2017 

Monday, January 1, 2018

জানিতে ইচ্ছে হয়

 

 

 

 

 

 

জানিতে ইচ্ছে হয়

       প্রসেনজিৎ দত্ত
 
তোমার বাণীরে করিতে সম্মান-
তোমার ভাবনাতে করিতে নিজেকে বিলান-
জানো না তুমি হে কবি বর,
        হয়েছি আমি লাঞ্চিত, অপমানিত-
                                 ব্যথিত বার বার।
কী করে নামাবো মোর এই মরমের ভার?

তুমি দিয়েছিলে যে চিঠিপত্র-
    প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে করেছি লালন-
                                       হৃদয়ে, মননে,
                   পালন করেছি অবিরাম।

প্রদীপের শিখা হয়ে জ্বলেছি প্রাণপণ,
আঁধার ঘুচেছিল বটে এককাল,
তবে আলোর হয় নাই সমান!
আজ নিভে গেছে শিখা,
নাই জ্বলিবার শক্তি আর।

যতনে বাজিয়েছি বাঁশি-
অতি গোপনে, গভীর রাতে,
                    ঘুমিয়েছে সবাই-
তারারাও লুকিয়েছিলো সে রাত-
                       মেঘের আঁড়াল।

রাত্রি হয় অবসান-
    কেটে যায় অন্ধকার ছবি,
      আলোয় প্রকাশিত ধরণী,
                 পাখিরা গায় গান।
তবু মরমেই থেকে যায় -
                  মোর মরমের ভার।

আজ,
জানিতে ইচ্ছে হয়, ওগো আলোর কবি-
                 আঁধার কি ছুঁয়েছিলো তব মন,
                        কভু হয়েছিলো তব আপন?

আপোষ



 --প্রসেনজিৎ

জীবন চলার পথে কতকিছু ঘটে যায় !
কত সম্পর্ক জুড়ে যায়,
আর কত সম্পর্ক উড়ে যায়,
তবুও জীবন চলে যায় তার আপন মোহনায়,
সবকিছুই পড়ে রয় পিছন পানে,
শুধু কিছু স্মৃতি থেকে যায় মনে।
অম্লতা আর বিষণ্ণতার স্মৃতিগুলোই বোধ হয় -
মনকে করে ফেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন অতি। 
তাই মাঝে মাঝে যখন বলি- 
চল মন করে ফেলি আপোষ আজই, 
তবু এই শর্তে ,শত চেষ্টা করেও মনকে -
করানো যায় না রাজী। 
মন তখন বলতে থাকে-
একতরফা যা কিছুই করবি,
তার সবই হবে ফাঁকি।


March 7, 2016 ·








আকাশ বিছিয়েছে তার স্বপ্নীল আঁচল,
সে আঁচল ছুঁয়ে খেলা করে রাশি রাশি জল।
শুধু উড়ে বেড়ায় ডানা মেলা চিল।।

Miss Understanding

April 24, 2016 ·
----প্রসেনজিৎ  











ভুল বুঝা আর ভুল করা দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। 
প্রথমটা হজম করা যায় না।

স্বপ্ন

September 17, 2016 ·



স্বপ্ন,
সব স্বপ্ন ধরতে পারলে,স্বপ্নের এতো কদর করতো কে,?
স্বপ্নের কদর বজায় রাখার জন্যই স্বপ্নকে মাঝে মাঝে অধরা হতে হয়।
হতাশায় না ডুবলে স্বপ্নই বা কে দেখতো,,,,?
হতাশা আছে বলেই স্বপ্ন পূরনের আশা জাগে।

কাজ


কাজ আপাত দৃষ্টিতে যার জন্যই করা হোক না কেনো, 
প্রকৃত অর্থে তা নিজের জন্যেই করা।
 আর উপকার! 
সেটা তো মানুষ তার স্বার্থ ছাড়া করে না। 
অতএব কাজ কখনো প্রতারনা করে না। 
সে আপনাকে তার ফলাফল প্রদান করবেই। 

-প্রসেনজিৎ দত্ত
September 29, 2015 












মানুষ তার নিজেকে জয়ী নয়,
আমার মনে হয়- তার অহংকার কে জয়ী করতে চায়।-

----প্রসেনজিৎ
November 11, 2016 ·

কল্প জগত আর স্বপ্ন জগত

December 18, 2016 · ----প্রসেনজিৎ


















কল্প জগত আর স্বপ্ন জগত,,,,!!!
অনেক দিন ধরে ভাবছি,,,,,,,,
আসলে দুটি কি পৃথক বিষয় না কি একি জিনিষ,,,,?
স্বপ্ন জগতে যা কল্পনা করা যায়,
তা হওয়ার একটা প্রবল ইচ্ছা,উদ্যম থাকে।
তৃপ্তি তখনই আসে যখন বাস্তবে ইচ্ছা/স্বপ্ন পূরণ হয়।
কিন্তু কল্পনা জগতে তা থাকে না। সেখানে বাস্তবতার অপূর্ণতাকে, পূর্ণতা দেওয়ার একটা তৃপ্তি কাজ করে।
স্বপ্ন আর ঘুমের সম্পর্ক বিপরীত, কিন্তু কল্পনা ঘুমকে রোমাঞ্চিত করে।
স্বপ্ন জগত মানুষকে দৌড়ায়, কিন্তু
কল্প জগত মানুষকে ভাবনার জগতে আনন্দ দেয়।

মানুষ জাত দুই ভাগে বিভক্ত,মনে হয়- ভাবনাও দুই ভাগে বিভক্ত স্বপ্ন আর কল্পনা



ভাবনা

মেঘে ঢাকা-
এই শীতের অপরাহ্নে,
কুয়াশার চাদরে আবরিত শত ব্যস্ত এই শহরটা,
আজ কেমন যেন স্থির হয়ে যেতে চায়,
কী যেন এক অশেষ ভাবনায় ডুবে যেতে চায়!
যে ভাবনার শুরু আছে তবে অবশেষ নাই!
অন্তহীন সেই ভাবনা - কেবলই ঘুরপাক খায়।

ঘনকুয়াশায় নিমজ্জিত এই শহর আজ ভেবে ফিরে-
কীসের উদ্দেশে সে গড়ে উঠেছিলো,
কেমন রুপের সে স্বপ্ন দেখেছিলো,
কোন পরিচয়ের সে আশা করেছিলো?
তবে আজ  কেন এই শহর? এ কেমন শহর? কোন শহর?  কার শহর?

নিস্তব্ধ, স্থবির হয়ে আসে তার ভাবনা,
শহরের হিমোগ্লাবিন জমাট বেঁধে বরফ হয়ে যায় সেই ভাবনায়,
হাত- পা শিরশির করে উঠে তার,ভাবনাগুলো জমে যেতে থাকে;
অবাক হয়ে যায় সে, তার আজকের এই পরিচয়ে!
এই শহর হতে তো সে চায় নি! এই পরিচয় তো তার কাঙ্ক্ষিত ছিলো না!
তবে আজকের এই বর্তমান কার দায়?
নিঃপ্রাণ এই অনাকাঙ্ক্ষিত, নিথর, শহর কী কেবলই এক নির্জীব শহরের দায়?
নাকি এর দায় অন্য কোথাও?
কোথায় তার অতীত?
কোথায়ই বা নিয়ে যেতে চায় এই বর্তমান?

অতীতে - নাকি আগামীর দিনে?
যদি আগামীকেই বেছে নিতে চায় তবে কিরুপ সেই আগামীর দিন?
কীভাবে তা বেছে নেয়া যাবে?
অতীতে তো এই একই সুন্দর আগামীর জন্য সে পথ চলেছিলো,
তবে কী আজকের এই আগামীর আশা, কেবলই সেই অতীতেরই আগামীর আশা ছাড়া আর কিছু নয়!
শহরের ভাবনা ক্রমশ জমে যেতে থাকে, বরফ থেকে বরফ হতে থাকে, স্তব্ধ থেকে স্তব্ধ..... নিস্তব্ধ... নিমজ্জিত ঘনকুয়াশায়...

ভাবনার এমনই একখানি জমে যাওয়া চাদরে আচ্ছাদিত মনে,
যে ভাবনার শুরু আছে অবশেষ নাই
কেবলই ঘুরপাক খায়;
অন্তহীন সেই ভাবনায় -
শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে,জানালার পাশ ঘিরে,
ভাবিয়া ফিরে এক যুবকায়;-
আপনারেই বারেক জিজ্ঞাসে- অন্তরবিদারী চিত্কারে।
কোথায় আমার বর্তমান? কোথায় আমার বর্তমান? কোথায় আমার বর্তমান?
                                                                  

Author Choice

আমি একটা অন্ধকারের ছবি আকঁবো

  আমি একটা অন্ধকারের ছবি আকঁবো নিকষ গাঢ় কালো অন্ধকারের ছবি। আলো - ছায়ার কোন ছবি নয় আলো - ছায়ায় কৃত্রিমতা থাকে, আমি একটা অন্ধকারের...